তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়

তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় যেনে রাখা আমাদের জন্য অতীব জরুরী। আমাদের আশেপাশে হটাত কেউ অসুস্থ হলে আমরা প্রথমেই ভাবি তার রক্ত চাপ বেড়ে গেল কিনা। কারন এই উচ্চ রক্তচাপ বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগের প্রধান কারন হয়ে দাড়ায়।
উচ্চ রক্তচাপের জটিলতা থেকে বাচতে আমাদের জানতে হবে রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাৎক্ষনিক কি ব্যবস্থা নিবেন এছাড়া জীবন ব্যবস্থা কেমন হলে সহজেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন সে সম্পর্কেও বিস্তারিত জানতে পারবেন। তাই সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেজ সুচিপত্রঃ তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়

তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়

আপনার যদি তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় জানা থাকে তাহলে আপনার জন্য একটি জীবন বেচে যেতে পারে। উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ে যথেষ্ট সচেতন না হওয়ায় স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ফেইলিউর এর মতো মারাত্মক সমস্যাগুলো দিন দিন বেড়েই চলছে। একইসাথে বাড়ছে মৃত্যুও। আজকে আমরা জানবো কোনোরকম ওষুধ ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে তাৎক্ষনিক  উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে গেলে তা কিভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। 
উচ্চ রক্তচাপ বা হাই ব্লাড প্রেশারকে নীরব ঘাতক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে উচ্চ রক্তচাপ একটি ভয়ঙ্কর জনস্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০২৫ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে প্রায় ১.৩ বিলিয়ন মানুষ উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। বাংলাদেশের প্রায় ২০-৩০% মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন। যার মধ্যে ৪০% এর ও বেশি মানুষ জানেন না সে এই রোগে আক্রান্ত। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের প্রাকৃতিক সব উপায় বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। 

রক্তচাপ বলতে কি বোঝায়

ধমনী, শিরা, উপশিরার মধ্য দিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে রক্ত প্রবাহিত হয়। এই রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় ধমনীর প্রাচীরে যে চাপ প্রদান করে তাকে বলা হয় রক্ত চাপ। এই রক্তচাপ পরিমাপ করার যন্ত্রের নাম স্ফিগমোম্যানোমিটার। রক্তচাপকে সাধারণত মিমি/মার্কারি এককে প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন কারনে এই রক্তচাপের মান কম বেশি হতে পারে। 

চিকিৎসাবিদ্যায় চার ধরনের রক্তচাপ নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রথমত, সিস্টোলিক চাপ-হৃৎপিণ্ড যখন সংকুচিত অবস্থায় থাকে তখন যে চাপ দেয় । দ্বিতীয়ত, ডায়াস্টোলিক চাপ- হৃৎপিণ্ড যখন প্রসারিত অবস্থায় থাকে তখন যে চাপ দেয়। এছাড়া আরও দুই ধরনের রক্তচাপ নির্ণয় করা হয়-পালস প্রেসার এবং গড় আর্টারিয়াল চাপ। 

কখন বুঝবো উচ্চ রক্তচাপ

চার ধরনের রক্তচাপের স্বাভাবিক মান জেনে নেই। রক্তের স্বাভাবিক সিস্টোলিক চাপ ৯০-১২০ মি.মি./মার্কারি এবং স্বাভাবিক ডায়াস্টোলিক চাপ ৬০-৮০ মি.মি./মার্কারি  ধরা হয়। এছাড়া স্বাভাবিক পালস প্রেসার ৩০-৪০ মিমি/মার্কারি এবং স্বাভাবিক গড় আর্টারিয়াল প্রেসার ৭০-৯০মিমি/মার্কারি। নিচে ছকের মাধ্যমে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলো। 
রক্তচাপ  স্বাভাবিক মান (mmHg)
সিস্টোলিক চাপ ৯০-১২০
ডায়াস্টোলিক চাপ ৬০-৮০
পালস প্রেসার ৩০-৪০
গড় আর্টারিয়াল প্রেসার ৭০-১০০
সিস্টোলিক চাপ ১৪০ মি.মি./মার্কারি এবং ডায়াস্টোলিক চাপ ৯০ মি.মি./মার্কারি এর বেশি হলে সেই অবস্থাকে উচ্চ রক্তচাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া কিছু লক্ষণ  যদি থেকে থাকে তাহলে বুঝতে হবে উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা রয়েছে, এবং অতিদ্রুত রক্তচাপ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। লক্ষণগুলো হলোঃ মাথাব্যথা বা মাথায় চাপ অনুভব করা, দৃষ্টি সমস্যা চোখে ঝাপসা দেখা, বুকে ব্যথা অথবা চাপ অনুভব, শ্বাসকষ্ট, শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হওয়া ইত্যাদি ।

উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারনসমুহঃ 

উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারন রয়েছে। অনিয়ন্ত্রিত জীবনব্যবস্থাকেই উচ্চ রক্তচাপের প্রধান কারন হিসেবে ধরা হয়। উচ্চ রক্তচাপের কারণসমূহ আমাদের জানা থাকলে তা পরিহার করে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারি। কারণগুলোকে আমরা দুইটি ভাগে ভাগ করতে পারি- নিয়ন্ত্রণযোগ্য এবং অনিয়ন্ত্রণযোগ্য কারন।

উচ্চ রক্তচাপের  নিয়ন্ত্রণযোগ্য কারনসমুহঃ অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ করাঃ আমরা যে খাদ্য লবণ ব্যবহার করি তার প্রধান উপাদান সোডিয়াম। সোডিয়াম শরীরে অতিরিক্ত পানি ধরে রাখে, রক্তনালীকে সংকুচিত করে, হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে এছাড়া কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে রক্ত চাপ বাড়িয়ে দেয়। বিশ্ব সাস্থ্য সংস্থার মতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে ৫ গ্রাম বা তার কম লবণ গ্রহণ করা উচিৎ। কিন্তু আমাদের দেশে প্রতিদিন গড়ে ৭-৮ গ্রাম লবণ খাওয়া হয়ে থাকে। যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুকি বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়।  

অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসঃ অনেকেই আমাদের খাদ্যাভাস কে নিয়ন্ত্রণে রাখিনা। অতিরিক্ত চর্বি, ভাজাপোড়া, প্রক্রিয়াজাত খাবার, চিনি, লাল মাংস ইত্যাদি রক্তে কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে। এতে রক্তনালীর বিভিন্ন জায়গায় প্লাক সৃষ্টি হয়ে রক্তনালি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবে রক্ত চলাচল করতে পারে না। রক্ত চলাচল করতে না পারায় রক্তের চাপ বৃদ্ধি পায় অর্থাৎ হাইপারটেনশন সৃষ্টি হয়। 

শরীরচর্চার অভাবঃ নিয়মিত শরীরচর্চা না করলে শরীরে অতিরিক্ত চর্বি বা মেদ জমে যেতে পারে। যা রক্তচাপ বৃদ্ধিসহ কিছু মারাত্মক রোগের কারন হয়ে দাড়ায়। এছাড়া অতিরিক্ত মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা , ধূমপান, মদপান, স্থুলতা বা অতিরিক্ত ওজন, অপর্যাপ্ত ঘুম এবং কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার জন্যও রক্তচাপ স্বাভাবিক থেকে বেশি হতে পারে। 

উচ্চ রক্তচাপের  অনিয়ন্ত্রণযোগ্য কারনসমুহঃ অনিয়ন্ত্রিত কারণগুলোর মধ্যে প্রথমেই বলতে হবে বয়স নিয়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে রক্তনালীগুলো অনমনীয় হয়ে পড়ে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিকভাবেই কিছুটা বাড়ে। উচ্চ রক্তচাপের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে পরবর্তী প্রজন্মে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যায়। ধৈর্য রাখতেচাপের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো লিঙ্গ। সাধারণত পুরুষ নারীদের তুলনায় পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেশি থাকে। তবে ম্যানুপজের পর নারীদের উচ্চ রক্তচাপে ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়। 

হঠাৎ বেড়ে গেলে কমানোর উপায়

কোন রকম লক্ষণ তেনা পারলেও অনেক ক্ষেত্রে হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা না নিলে গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই হঠাৎ যদি রক্তচাপ বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে কমানোর জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে একই সাথে দ্রুত হসপিটালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় হিসেবে নিচের কাজগুলো করা জরুরী।

রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে গেলে রোগীকে বেশি চলাচল করতে দেওয়া যাবে না। স্থির ভাবে কোথাও বসাতে হবে কারণ তাহলে বেশি চলাচল করলে রক্তচাপ আরো বেড়ে যেতে পারে। রক্তচাপ কমানোর জন্য তেঁতুল অথবা লেবুর রস খাওয়াতে পারেন। এই সময় খাবারে আদা রাখুন কারণ আধা একটিবার পুলিশ হিসেবে কাজ করে। শিথিল করে রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। তারপরও যদি রক্তচাপ না কমে এবং রবির অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যেতে থাকে তাহলে দ্রুততার সাথে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ডাক্তার দেখে তাৎক্ষণিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি

গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপার টেনশনের কারণে মা ও শিশুর জন্য বিভিন্ন ধরনের জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। সাধারণত ঘর ব্যবস্থা গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহের সময় উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে তবে প্রসবের পরে তা স্বাভাবিক হয়ে আসে। মায়ের যদি আগে থেকে হাইপার টেনশন থাকে সেক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। ভালো অবস্থায় হাইপার টেনশনের গুরুতর অবস্থাকে বলা হয় এক্লাম্পসিয়া।

এক্লাম্পসিয়ার ক্ষেত্রে মায়ের শরীরে খিচুনি দেখা দেয়। মা ও শিশু উভয়ের জন্য জীবনঘাতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় হাইপার টেনশনের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ প্রথমবার গর্ভধারণ, মায়ের বয়স ৩৫ ঊর্ধ্বে,  স্থূলতা, জমজ সন্তান, পারিবারিক ইতিহাস ইত্যাদি। এক্ষেত্রে মা ও শিশুর মৃত্যু, লিভার ও কিডনির সমস্যা, খিচুনি, গর্ভপাত, অকালে শিশুর জন্ম ইত্যাদি জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। 

রক্তচাপ কমিয়ে রাখার পাঁচটি ব্যায়াম

স্বাভাবিকভাবে রক্তচাপ কমিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করা অপরিহার্য। শরীরচর্চা করলে শরীরের পেশিগুলো সচল থাকে এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। তাই হার্টের সুস্থতার জন্য শরীরচর্চা করা প্রয়োজন। তবে সবার পক্ষে সব ধরনের শরীরচর্চা করা সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবে সহজ যে পাঁচটি ব্যায়াম করলে হার্ট কে সুস্থ রাখা যায় অর্থাৎ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে  তার নিচে আলোচনা করা হলো। 

১। হাঁটাঃ প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট হাটা হার্টকে  সুস্থ রাখার জন্য জরুরী। এটি রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ২ দৌড়ানোঃ যদি সম্ভব হয় হাঁটার সাথে সাথে দৌড়ানো উচিত। ৩ সাইকেল চালানোঃ সাইকেল চালানো হতে পারে চমৎকার একটি অ্যারোবিক ব্যায়াম। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। ৪ সাঁতারঃ কাটা আমরা যারা সাঁতার কাটতে পারি তারা চাইলে নিয়মিত সাঁতার কাটতে পারি এটিও রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। ৫ ব্যায়ামঃ প্রতিদিন সকালে যোগব্যায়াম করলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। 

হার্টের সুস্থতায় ৭ টি খাবার

১. সবুজঃ শাকসবজি সবুজ শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাকে পটাশিয়াম থাকে। যা রক্তচাপ কমানের ক্ষেত্রে বিশেষ ভুমিকা রাখে। ২. বেরি জাতীয় ফলঃ গবেষণায় দেখা গেছে বেরি জাতীয় ফল যেমন স্ট্রবেরি, রাসবেরি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভুমিকা রাখে। ৩. বীটঃ এতে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে যা রক্তনালী শিথিল করে রক্তচাপ কমায়। ৪. রসুনঃ রসুন রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত এক কোয়া রসূন খাওয়ার অভ্যাস করা উচিৎ।

৫. কলাঃ কলা আমাদের অতি পরিচিত ফল। নিয়মিত কলা খাওয়া হার্ট এর জন্য উপকারী। ৬. চর্বিযুক্ত মাছ ঃ চর্বিযুক্ত মাছে  ওমেগা-৩  ফ্যাটি এসিড থাকে যা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয়। কয়েকটি চর্বিযুক্ত মাছ হল স্যামন, সার্ডিন,  ম্যাকেরেল ইত্যাদি। ৭. অ্যাভোকাডোসঃ অ্যাভোকাডোস পটাশিয়ামের জন্য একটি ভালো উৎস হিসেবে কাজ করে। সোডিয়ামের পরিমাণ কমিয়ে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। 

যা খাবেন-যা খাবেন না

কিছু কিছু খাবার রয়েছে যা উচ্চ রক্তচাপকে বাড়িয়ে দেয় আবার কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো উচ্চ রক্তচাপকে কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এরকম কয়েকটি খাবারে তালিকা নিম্নে প্রকাশ করা হলো যেগুলো মেনে চললে আপনার উচ্চ রক্তচাপ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 
যা খাবেন যা খাবেন না
সবুজ শাক সবজি অতিরিক্ত লবণজাতীয় খাবার
বেরি জাতীয় ফল তেলচর্বিযুক্ত খাবার
কলা অতিরিক্ত মিষ্টি
চর্বিযুক্ত মাছ চা কফি
বীটরুট অ্যালকোহল,ধূমপান

আরও পড়ুনঃ ওজন বাড়ানোর ১০ টি ঘরোয়া উপায়  

তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায়-শেষকথা  

তাৎক্ষনিক ভাবে উচ্চ রক্তচাপ কমানোর উপায় সম্পর্কে সম্পূর্ণ পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। হঠাৎ কারো রক্তচাপ বেড়ে গেলে তো কিভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা যায় সেই সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা দেওয়া হয়ে। এছাড়া কোন কোন খাবার খেলে রক্তচাপ বেড়ে যায় আর অথবা এবং কোন কোন খাবার খেলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে সেই সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে মনে রাখতে হবে মনে রাখতে হবে উচ্চ রক্তচাপ একটি প্রাণঘাতী সমস্যা তাই এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে।
যে উপায়গুলো আলোচনা করা হয়েছে সেগুলোই একমাত্র চিকিৎসা নয়। তবে সঠিক সময়ে আলোচিত কাজ গুলো করতে পারলে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা থেকে রেহাই পাওয়া যায় উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচার জন্য একমাত্র উপায় হচ্ছে জীবনধারার পরিবর্তন অতিরিক্ত অলসতা অনিন্দিত খাবার দাবার পরিহার করে এবং নিয়ম আমরা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

মেডিজেনিক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url