অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যাথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে যেগুলো অবহেলা করলে
আপনি মারাত্মক জটিলতার মধ্যে পড়তে পারেন। এই পোস্টে এমন সাতটি লক্ষণ নিয়ে
আলোচনা করা হয়েছে যেগুলো থেকে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি এপেন্ডিসাইটিসের আক্রান্ত
কিনা।
বর্তমানে অ্যাপেন্ডিসাইটিস গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে লক্ষণগুলো দেখে
বুঝতে পারবেন আপনার এপেন্ডিসাইটিস হয়েছে সেরকম সাতটি লক্ষণ বিস্তারিত আলোচনা করা
হয়েছে তাই পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পেজ সুচিপত্রঃ অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
- অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
- অ্যাপেন্ডিক্স এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিস কী
- অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর ৭টি লক্ষণ
- এপেন্ডিসাইটিস এর প্রধান কারণ সমূহ
- এপেন্ডিসাইটিস এর সম্ভাব্য জটিলতা
- এপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় পদ্ধতি
- এপেন্ডিসাইটিস এর চিকিৎসা
- অ্যাপেন্ডিসাইটিস ঠেকাতে যা খাবেন
- অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে-শেষকথা
অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে ।
সম্প্রতি জরিপে দেখা গেছে ৭ থেকে ৮% মানুষ জীবনে কখনো না কখনো
অ্যাপেন্ডিসাইটিস রোগে ভুগছেন। এটি এমন একটি রোগ যেটি সঠিক সময় নির্ণয় করতে না
পারলে আপনার শরীরের ভেতরের অঙ্গগুলো কে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরে
করে।
অন্যান্য সাধারণ পেট ব্যথার সাথে অথবা মেয়েদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডের ব্যাথার
সাথে অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা গুলিয়ে ফেলার কারণে সঠিক সময় রোগ নির্ণয় করা
সম্ভব হয় না। তাই সাধারণ পেট ব্যাথা সাথে আর কি কি লক্ষণ দেখা দিলে আপনার
এপেন্ডিক্স এর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তা নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা
করা হয়েছে। এছাড়া অ্যাপেন্ডিক্সের ব্যথা অথবা অর্থাৎ এপেন্ডিসাইটিস হলে আপনার
কি করণীয় হবে সেই বিষয়েও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
অ্যাপেন্ডিক্স এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিস কী
মানুষের শরীরের পরিপাকতন্ত্রের একটি বৃহৎ অংশের নাম বৃহদান্ত্র। এই বৃহদান্ত্রের
ঠিক নিচের দিকে আঙ্গুলের মত অথবা থলির মতো একটি অংশ লাগানো থাকে যাকে
অ্যাপেন্ডিক্স বলা হয়। এটি পরিপাকতন্ত্রের একটি অংশ হওয়া সত্ত্বেও পরিপাকে
এর তেমন কোন ভূমিকা নেই। এমনকি অন্য কোন বিশেষ কাজেও অ্যাপেন্ডিক্স এর ভূমিকা
নেই। তাই একে অনেক সময় অকেজো অঙ্গ বলা হয়।
চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রদাহ, ব্যথা, জ্বালা-পোড়া ইত্যাদি বোঝাতে "আইটিস" শব্দটি
ব্যবহার করা হয়।অ্যাপেন্ডিক্সের প্রদাহ বা ব্যথাকে তাই অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলা
হয়। অনেক সময় ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ অথবা অন্য কোন রোগের কারণে
অ্যাপেন্ডিক্স এর সংক্রমণ হয় এবং ব্যথা বা প্রদাহের সৃষ্টি হয় যে অবস্থাকে আমরা
সামগ্রিকভাবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস বলে থাকি। এতে পেটের ঠিক মাঝ জ বরাবর প্রচন্ড
ব্যথা অনুভূত হয়।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর ৭টি লক্ষণ
সঠিক সময়ে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় করে যথাযথ চিকিৎসা নিলে এই রোগ থেকে
সেরে ওঠার শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে শুরুতেই রোগ নির্ণয় করা
জরুরী। রোগ বুঝে উঠতে যদি অনেক দেরি হয় সেক্ষেত্রে শরীরে অন্য
অঙ্গগুলোও অ্যাপেন্ডিসাইটিসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিচে এমন ৭টি লক্ষণের কথা
উল্লেখ করা হয়েছে যেগুলো কারো শরীরে থাকলে বুঝতে হবে তার অ্যাপেন্ডিক্স এর
ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
১) এপেন্ডিসাইটিস হলে শুরুতে পেটের ডানদিকে ব্যথা অনুভূত
হয়। পরবর্তীতে নাভির চারিদিকে এবং তলপেটের দিকে ব্যথা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে।
২) অনেক ক্ষেত্রে তলপেট ফুলে যেতে পারে। খাবার খাওয়ার পর পেটে প্রচন্ড
ব্যথা অনুভূত হয়।
৩) ক্ষুধামন্দা, অরুচি , বমি হতে পারে।
৪) যার আশার সম্ভাবনা থাকে তবে সবার ক্ষেত্রে জ্বর আসে না।
৫) হাঁটাচলা, ওঠা বসা, সিড়ি দিয়ে নামার সময় ব্যথা অনুভূত হয়।
৬) ডায়রিয়া অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
৭) অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে গিয়ে ফেটে গেলে ব্যথা মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং রোগী
অনেক সময় জ্ঞান হারাতে পারে।
এই ছিল এপেন্ডিসাইটিস এর প্রধান সাতটি লক্ষণ। এর মধ্য থেকে কমপক্ষে দুই থেকে
তিনটি লক্ষণ দেখা দিলে জরুরী ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ
করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় এপেন্ডিসাইটিস জটিল আকার ধারণ করবে না।
এপেন্ডিসাইটিস এর প্রধান কারণ সমূহ
অ্যাপেন্ডিক্সের কাজ যেমন সঠিকভাবে জানা নেই তেমনি অ্যাপেন্ডিসাইটিস ঠিক
কোন কারণে হয় তা জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হয় অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস,
অতিরিক্ত ওজন এবং বিভিন্ন ধরনের পরজীবী যেমন ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার
সংক্রমণে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হতে পারে। অতিরিক্ত তেল চর্বিযুক্ত খাবার খেলে
শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে শুরু করে যার কারণে অ্যাপেন্ডিক্সের সমস্যা হওয়ার
সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
এতে এপেন্ডিক্স আকারে বড় হয় এবং ভিতরে তরল জমতে থাকে। যার কারণে
জ্বালাপোড়া বা প্রদাহ সৃষ্টি হয়। অনেক সময় অন্য কোন রোগ হলে অ্যাপেন্ডিক্স
আক্রান্ত হতে পারে এবং অ্যাপেন্ডিসাইটিস হতে পারে। অ্যাপেন্ডিক্স ফুলে গিয়ে
ফেটে গেলে প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয় এবং বৃহদান্তের মধ্যে থাকা বস্তুগুলো পেটের
ফাঁকা জায়গায় বেরিয়ে আসে।
এপেন্ডিসাইটিস এর সম্ভাব্য জটিলতা
সঠিক সময়ে এপেন্ডিসাইটিস চিকিৎসা না করালে এটি মারাত্মক আকার ধারন করে।
তখন এটি ফুলে এক্সময় ফেটে যায় এবং পেটের ভিতর ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে দেয়। এই
ব্যাকটেরিয়াগুলো অন্য অঙ্গগুলোকেও মারাত্তকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। ফেটে
যাওয়ার ফলে বৃহদান্ত্রে ফাটল বা ছিদ্র সৃষ্টি হয়। ঐ ছিদ্রপথে খাদ্যের অপাচ্য
অংশ অ্যাবডোমিনাল ক্যাভিটিতে (পেটের ফাকা জায়গা) বেরিয়ে আসতে পারে।
অনেকসময় থলির মতো পুজ সৃষ্টি হতে পারে যাকে অ্যাবসেস বলা হয়। বেশিদিন অবস্থান
করলে এটি পচে গিয়ে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। তবে ক্যান্সার
হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারন সঠিক সময়ে রোগ ধরতে পারলে এবং উপযুক্ত চিকিৎসা
নিলে এটি থেকে সম্পূর্ণ রূপে নিস্তার পাওয়া সম্ভব। তাই শুধু পেটে ব্যাথা হলে
বাকি লক্ষণ গুলয় ভালোমতো মিলিয়ে দেখতে হবে।
এপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় পদ্ধতি
অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে
আপনাকে অতি দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসক পেটের
ডান দিকে হাত দিয়ে কিছুটা চাপ দিয়ে রোগ নির্ণয় করে থাকেন। কারণ
এপেন্ডিক্স ফুলে গেলে হাতের চাপে সেটি বোঝা যায়। নিশ্চিত হওয়ার জন্য
চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি গ্রহণ করতে পারেন।
এপেন্ডিসাইটিস নির্ণয়ের জন্য বহুল ব্যবহৃত একটি পরীক্ষা হল
আলট্রাসনোগ্রাম। এ ছাড়া এক্সরে, এমআরআই, সিটি স্ক্যান ইত্যাদির
মাধ্যমেও নিশ্চিত ভাবে অ্যাপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় করা যায়।অ্যাপেন্ডিসাইটিস হলে
রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার সংখ্যা বিশেষ করে নিউট্রোফিলের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়এবং
সি,আর,পি প্রোটিনের সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়। তাই রক্ত পরীক্ষা করেও
অ্যাপেন্ডিসাইটিস নির্ণয় করা যায়।এছাড়া ইউরিন এনালাইসিস করেও অ্যাপেন্ডিসাইটিস
নির্ণয় করা যায়।
এপেন্ডিসাইটিস এর চিকিৎসা
এপেন্ডিসাইটিস এর চিকিৎসা রোগের বয়স, রোগের মাত্রা, লিঙ্গ আরও কিছু
ভেরিয়েবলের উপর নির্ভর করে। চিকিৎসক প্রাথমিকভাবে কিছু
এন্টিবায়োটিক, ব্যথা নাশক ঔষধ এর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে
অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকিৎসা হলো সার্জারি বাস হলো
চিকিৎসা। সার্জারির মাধ্যমে সম্পূর্ণরূপে এপেন্ডিসাইটিসের সমস্যা থেকে
নিরাময় পাওয়া যায়। সার্জারির মাধ্যমে অ্যাপেন্ডিক্স কেটে শরীর থেকে বাদ
দেওয়াকে অ্যাপেন্ডেক্টমি বলে।
অ্যাপেন্ডেক্টমি সাধারণত দুই ভাবে করা হয়। ল্যাপারোস্কোপি এবং ওপেন
সার্জারির মাধ্যমে।ল্যাপারোস্কোপির ক্ষেত্রে পায়ের একটি অংশ কেটে শিরার
মাধ্যমে একটি তার প্রবেশ করানো হয়। তার সাথে অপারেশনের জন্য প্রয়োজনীয়
সরঞ্জাম প্রবেশ করানো হয়। কম্পিউটারের মাধ্যমে শারীরিকভাবে
স্বয়ংক্রিয়ভাবে তারটি অ্যাপেন্ডিক্স এর কাছে গিয়ে পৌঁছায়। চিকিৎসা
কম্পিউটারের মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি পর্যবেক্ষণ করেন এবং আক্রান্ত
এপেন্ডিক্স কেটে শরীর থেকে অপসারন করেন।
ওপেন সার্জারি ক্ষেত্রে চিকিৎসক সরাসরি পেট কেটে আক্রান্ত এপেন্ডিক্স অপসারণ
করেন। পরবর্তীতে কাটা স্থান সেলাই করে দেওয়া হয়। দুই ধরনের সার্জারির মধ্যে
ল্যাপারোস্কোপি বেশি সুবিধাজনক।প্রযুক্তির উন্নয়নে ল্যাপারোস্কোপির
ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তবে ল্যাপারোস্কোপির ক্ষেত্রে খরচ তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে।
অ্যাপেন্ডিসাইটিস ঠেকাতে যা খাবেন
নির্দিষ্ট কোন খাবার নেই নির্দিষ্ট কোন খাবার নেই যা অ্যাপেন্ডিসাইটিস
প্রতিরোধ করে। তবে কিছু আনুসাঙ্গিক খাবার আছে যা এপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধে
সাহায্য করে। যেমন
মেথি- এটি প্রাকৃতিক ভাবে এপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধ করে। মিউকাস আবরণ তৈরিতে বাধা
দেয় এটি। বাদাম তেল-এটি এপেন্ডিসাইটিসএর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। পেটে
আলতোভাবে বাদাম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলে ব্যথা অনেকটা উপশম হয়।
এপেন্ডিসাইটিস প্রতিরোধে আরেকটি কার্যকর খাবার হলো সবজির জুস। এটি
অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর বিরুদ্ধে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। দিনে দুইবার
সবজির জুস খেলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর ব্যথা অনেকটা কমে যেতে পারে। পুদিনা
পাতা পুদিনা পাতা অ্যাপেন্ডিসাইটিস নিরাময়ে কার্যকর। পুদিনা পাতা দিয়ে
চা বানিয়ে খেলে অ্যাপেন্ডিসাইটিস এর ব্যথা কমে, এছাড়া বমি বমি ভাবও দূর
করে।
অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে-শেষকথা
অ্যাপেন্ডিক্স এর ব্যথা কিনা বুঝে নিন ৭ লক্ষণে যে লক্ষণ গুলো আমরা অন্য সাধারণ
ব্যথার সাথে পার্থক্য করতে পারিনা। ফলে বুঝে উঠতে অনেক দেরি হয়ে যায়। এতে
অ্যাপেন্ডিক্স ক্রমান্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। একসময় পচে ফুলে ওঠে এবং ফেটে
যায়। তখন অপারেশন করা ছাড়া আর গতি থাকেনা। অনেকক্ষেত্রে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেল এ অ্যাপেন্ডিক্স নিয়ে খুঁটিনাটি সকল বিষয় নিয়ে
আলোচনা করা হয়েছে। যেমন অ্যাপেন্ডিক্স কি, কেন ব্যথা হয়, লক্ষণ কি, চিকিৎসা কি
ইত্যাদি সকল বিষয়।অ্যাপেন্ডিসাইটিস কে কোন ভাবেই অবহেলা করবেন
না। উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখা দিলে যতদ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে
চিকিৎসা শুরু করুন। অ্যাপেন্ডিক্স অথবা এপেন্ডিসাইটিস সম্পর্কিত
অন্য কোনো জিজ্ঞাসা থাকলে আমাদের কমেন্টে করতে পারেন।


মেডিজেনিক এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url